HOW PEOPLE ARE BORN - DO YOU KNOW?

Support independent publishing: Buy this e-book on Lulu.

Wednesday, August 3, 2016

ট্রাম্পকে ঘায়েল করলো হিলারী "বাংলাদেশ’' নিয়ে হিলারির কৌশল

তথ্যঃ- ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা ।
  রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘায়েল করতে গতকাল বুধবার ডেমোক্রেটিক পার্টির হিলারি ক্লিনটন নতুন একটি নির্বাচনী বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছেন। আউটসোর্সিং-বিষয়ক ওই বিজ্ঞাপনে Health & Fitness');">বাংলাদেশের নাম ব্যবহার করা হয়েছে
ট্রাম্পের সঙ্গে একটি পুরোনো সাক্ষাৎকার ব্যবহার করে বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়, ট্রাম্পের নামযুক্ত বিভিন্ন পণ্য মোট ১২টি দেশে প্রস্তুত হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশে প্রস্তুত হয় ট্রাম্প শার্ট। বিজ্ঞাপনে ‘এই জামা কোথায় তৈরি?’—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প প্রথমে বলেন, ‘কী জানি, হবে কোথাও।’
ট্রাম্পকে জামার লেবেল দেখিয়ে বলা হয়, জামা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে।
তখন ট্রাম্প ত্বরিত জবাব দেন, ‘খুব ভালো জামা।’
দর্শকদের উচ্চ হাস্যরোলের মুখে ট্রাম্প যোগ করেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান করেছি। সে দেশের মানুষেরও তো কাজের সুযোগ চাই।’
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম স্লোগান ‘সবার আগে আমেরিকা’ (আমেরিকা ফার্স্ট)।

ট্রাম্প
হিলারী









 গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনে অনেক বক্তা স্মরণ করিয়ে দেন, মুখে মুখে ‘সবার আগে আমেরিকা’ বললেও ট্রাম্প নিজে আমেরিকায় প্রস্তুত পণ্য বাজারজাতকরণের বদলে বাংলাদেশ ও চীনের মতো দেশ থেকে সেসব পণ্য কিনে আনছেন।
হিলারি গতকাল ডেনভারে টাই প্রস্তুতকারী একটি কারখানা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি প্রশ্ন করেন, ‘বিদেশ থেকে না কিনে ডেনভারে তৈরি টাই কেন কেনেন না ট্রাম্প?’
হিলারি বলেন, ট্রাম্প ওহাইওর বদলে মেক্সিকো থেকে কেনেন স্যুট। পেনসিলভানিয়ার বদলে তুরস্ক থেকে কেনেন আসবাবপত্র। উইসকনসিন থেকে না কিনে ভারত থেকে কেনেন ছবির ফ্রেম।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা গুটিয়ে বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগ করছে। ফলে, আমেরিকার শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে আসছে। এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য করবেন।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, ট্রাম্প নিজেই তাঁর বিভিন্ন বাজারজাত পণ্য আমেরিকায় প্রস্তুত করার বদলে বিদেশে ‘আউট সোর্স’ করে দিয়েছেন। ওই দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। এই সূত্র ধরেই এবার ট্রাম্পকে ঘায়েল করতে নেমে পড়েছে ডেমোক্র্যাট শিবির।

Tuesday, August 2, 2016

পেপ্যাল নিয়ে ফ্রিল্যান্সাররা কী ভাবছেন?

অবশেষ বাংলাদেশে চালু হচ্ছে অনলাইন-ভিত্তিক অর্থ লেনদেনসেবা পেপ্যাল। পেপ্যালের সঙ্গে কিছুদিন আগে চুক্তি করেছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক। জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের পক্ষে উপমহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা এ চুক্তিতে সই করেন। প্রথমে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে খসড়া চুক্তিতে সই করে তা পাঠানো হয় পেপ্যালের সদর দপ্তরে। সেখান থেকে পেপ্যালের পক্ষে চুক্তিতে সই করা হয়েছে বলেও সোনালী ব্যাংক জানিয়েছে। এর ফলে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং কাজে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা। বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু হওয়ার ব্যাপারে কথা বলেছেন কয়েকজন সফল ফ্রিল্যান্সার।
দেশে অর্থ আনার একটি অতিরিক্ত মাধ্যম যোগ হবে
এমরাজিনা ইসলামফ্রিল্যান্সার। বেসিসের আউটসোর্সিং পুরস্কারপ্রাপ্তপেপ্যাল আসছে, এমন খবর আমরা আগেও অনেকবার শুনেছি। কিন্তু এবার মোটামুটি নিশ্চিত হতে পেরেছি পেপ্যাল আসছে। এটি আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ। কারণ, টাকা আনার একটি অতিরিক্ত মাধ্যম আমরা পেতে যাচ্ছি। কিন্তু আমি জানি না বাংলাদেশে পেপ্যাল কেমন ফি কাটবে। আমি বর্তমানে পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডে এবং ওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে সরাসরি ব্যাংক হিসাবে টাকা আনছি। পেওনিয়ারের চার্জের চেয়ে যদি পেপ্যালের চার্জ বেশি হয়, তবে পেপ্যালে টাকা আনব না। চার্জ কম রাখলে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক ভালো হবে। যেসব মাধ্যম আছে টাকা আনার, তার মধ্য থেকে পেপ্যালের পরিচিতি অনেক বেশি, এটি সব দেশে অ্যাকসেস আছে। তা ছাড়া অনলাইন কেনাকাটার জন্য পেপ্যাল খুবই ভালো একটি মাধ্যম হবে। খুব সহজেই কেনাকাটা করা যাবে। মাঝে আমি কিছুদিন একটা মার্কিন ওয়েবসাইটে ছবি বিক্রির জন্য দিয়েছিলাম। সেখানে শিল্পীরা তাঁদের আঁকা ছবি বিক্রি করতে পারেন। কিন্তু বিক্রির টাকা আনার একমাত্র মাধ্যম ছিল পেপ্যাল। ই–কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য আশীর্বাদ
মাহফুজা সেলিম
ফ্রিল্যান্সার। বেসিসের আউটসোর্সিং পুরস্কারপ্রাপ্ত
পেপ্যাল একটি সহজ, নিরাপদ ও সর্বাধিক ব্যবহৃত অর্থ লেনদেনের মাধ্যম। অধিকাংশ বিদেশি ক্রেতা এতে লেনদেন করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। যখনই আমরা জানাই যে আমাদের দেশে পেপ্যাল কাজ করে না, তখন তাঁরা পাশের দেশ বা অন্য কোথাও থেকে কাজটি করিয়ে নেন। এটি হয়তো তাঁর মনে একধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেখানে পেপ্যালের মতো একটি সাধারণ লেনদেনব্যবস্থা নেই, সেখানে কাজ করতে গিয়ে হয়তো নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। ক্লায়েন্টের সঙ্গে আমার চুক্তি হয়ে গেলেও তাঁকে আবার তৃতীয় একটি পেমেন্ট সিস্টেম খুঁজতে হয়, যেটিতে হয়তো ক্লায়েন্ট লেনদেন করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না।
আমার মনে হয়, পেপ্যাল এলে এই সমস্যাগুলো আর থাকবে না। দেশে প্রচুর ক্লায়েন্ট আসবেন, রেমিট্যান্স বাড়বে কয়েক গুণ। বর্তমানে আমরা যেসব লেনদেনমাধ্যম ব্যবহার করি, এগুলো তুলনামূলক ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। পেপ্যাল এলে এই সমস্যা দূর হবে। পেপ্যাল শুধু মুক্ত পেশাজীবীদের (ফ্রিল্যান্সার) জন্যই নয়, দেশের ই-কমার্স ও অনলাইন উদ্যোক্তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসবে।

এর-ওর কাছে যেতে হবে না
শাহরিনা ইয়াসমিন
ফ্রিল্যান্সার, বেসিসের আউটসোর্সিং পুরস্কারপ্রাপ্ত
পেপ্যাল সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয়। আন্তর্জাতিক বাজারে পেপ্যালের গুরুত্ব অনেক বেশি। বাংলাদেশে পেপ্যাল এলে শুধু ফ্রিল্যান্সাররা নন, আন্তর্জাতিক অনলাইন বাজার থেকে কেনাকাটা শুরু করে সবকিছুই সহজ হয়ে যাবে। অনলাইনে কোনো প্রশিক্ষণ নিতে গেলে পেপ্যালের দরকার হয়। প্রকল্প ব্যবস্থাপনার মতো প্রশিক্ষণ আন্তর্জাতিক কোনো ওয়েবসাইট থেকে নিতে হলে পেপ্যালের কোনো বিকল্প নেই। আমি যুক্তরাষ্ট্রে যখন থাকতাম, তখন পেপ্যাল ব্যবহার করেছি। আমার কাছে অনেকে যোগাযোগ করতেন প্রশিক্ষণের এই ফি দেওয়ার জন্য। অনেকে দেখা যায় শুধু পেপ্যাল বা এমন লেনদেনের মাধ্যমের জন্যই কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারছেন না। বাংলাদেশে পেপ্যাল এলে খুবই ভালো হবে বলে মনে করি। আমি এখন সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে অর্থ আনছি। তিন-চার বছর ধরে বেশ কটি ব্যাংক এই সুবিধা দিচ্ছে।

আর লজ্জা পেতে হবে না
ওবায়েদুল ইসলাম
আউটসোর্সিং প্রশিক্ষক
পেপ্যাল এলে সবচেয়ে বড় ব্যাপারটা হলো নিজের একটা ঠিকানা থাকবে। এর-ওর কাছে গিয়ে বায়না ধরতে হবে না। বাইরের অনেক ই-কমার্স সাইট আছে, যেগুলোতে পেপ্যাল ছাড়া কোনো লেনদেন হয় না। ইবেসহ বিভিন্ন সাইটে শুধু পেপ্যাল দিয়েই লেনদেন করা সম্ভব। পেপ্যাল এলে এই কেনাকাটাগুলো অনেক সহজ হবে। বড় কথা হলো, বাইরের ক্লায়েন্টের কাছে লজ্জা পেতে হবে না। কারণ, তাঁরা চান পেপ্যালে লেনদেন করতে। এখন ভয় হচ্ছে, কেমন চার্জ দিতে হবে? কী শর্ত আর কোন পরিমাণ অর্থ লেনদেন করতে পারব, এটা আসল বিষয়। লেনদেনে কোনো লিমিট দিয়ে দিলে সেটার খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। আমার চাওয়া হলো, সরকার এই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে যেন কাজ করে এবং ভ্যাটের পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয়।

কেনাকাটা সহজ হবে
রাসেল আহমেদ
ফ্রিল্যান্সার, প্রধান কর্মকর্তা, আর আর ফাউন্ডেশন
পেপ্যাল বাংলাদেশে এলে লেনদেন অনেক সহজ হবে। আমি এখন সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ আনছি। এতে অবশ্য ফি একটু বেশি কাটছে। কিন্তু পেপ্যাল এলে অর্থ সরাসরি পাব। আর চার্জও তুলনামূলকভাবে কম হবে। বাইরের গ্রাহকেরা পেপ্যালে পেমেন্ট করতে চান। এই সমস্যাটি আর থাকবে না। তা ছাড়া এতে স্থানীয় ই-কমার্স সাইটগুলো লাভবান হবে। পেপ্যালের মাধ্যমে কেনাকাটাও সহজ হয়ে যাবে। পেপ্যাল ব্যাংকের মাধ্যমে আসছে, এখন দেখার ব্যাপার কী কী শর্ত দেয়।

পেপ্যাল নেই এমন উত্তরে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়
শাহ ইমরাউল কায়ীশ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, টেকনো বিডি ওয়েব সলিউশন্স
পেপ্যাল বাংলাদেশে এলে সুবিধা অনেক। আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ হবে। অনেক সাইট আছে, যেখানে পেপ্যাল ছাড়া কোনো কিছু কাজ করে না। একটা বিষয় দেখা যায় যে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা কিছু কিনতে চাইলে পেপ্যালের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করতে চান। পেপ্যাল নেই এমন উত্তরে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। পেপ্যালের নেটওয়ার্ক অনেক বড়। বাইরে থেকে খুব সহজেই পছন্দের পণ্য কেনা যাবে পেপ্যাল এলে। এখন দেখার বিষয় পেপ্যাল বাংলাদেশে কীভাবে আসে। তাদের মডেলটি কেমন হবে বাংলাদেশের জন্য।

এখন যে মাধ্যমে অর্থ আসে 
*  সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে (ওয়্যার ট্রান্সফার)
* পেওনিয়ার (মাস্টার কার্ড)

Wednesday, July 20, 2016

পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিতে হামলার সব প্রস্তুতি নিয়েছিল ভারত!

কাশ্মীরের কারগিল যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে দেশটির বিমানঘাঁটিতে হামলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল ভারতীয় বিমানবাহিনী। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশ না পাওয়ায় এ হামলা করা হয়নি। ওই হামলার পরিকল্পনা-বিষয়ক এক নথিতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গোপনীয় ওই নথিতে দেখা যায়, ১৯৯৯ সালের ১৩ জুন ভোরে এ হামলা চালানোর কথা ছিল। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে তখন সীমান্তের কারগিলে লড়াই চলছে পুরোদমে। ১৩ জুনের হামলার লক্ষ্য ঠিক হয়ে গিয়েছিল, নির্ধারিত পথও চূড়ান্ত হয়েছিল। যুদ্ধবিমানের পাইলটদের জন্য জোগাড় করা হয়েছিল পাকিস্তানি মুদ্রা, যাতে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে প্রয়োজনে তা ব্যবহার করা যায়।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দেশটির তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যশোবন্ত সিংয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারতাজ আজিজের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরই এ হামলার পরিকল্পনা হয়। কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করার সব প্রস্তুতি শেষের মাত্র কয়েক মিনিট আগে পরিকল্পনা বাতিল হয়। এর ফলেই কারগিলের সীমান্ত যুদ্ধ একটি সর্বাত্মক যুদ্ধে পরিণত হয়নি।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর দলিলে দেখা যায়, সারতাজ আজিজ ভারত ছাড়ার পরপরই রাতে সংশ্লিষ্ট সব পাইলটকে ডাকা হয়। পরদিন অর্থাৎ ১৩ জুন ভোরে হামলার জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। হামলার জন্য দুটি মিগ ২১ এবং চারটি মিগ-২৭ সহ ১৬টি যুদ্ধবিমান প্রস্তুত করা হয়। এক পাইলট বলেন, ‘আমরা রাতের খাবার খেয়ে সব প্রস্তুতি নিয়ে বাড়িতে চিঠিও লিখি। ভোর সাড়ে চারটার সময় আমরা রিপোর্ট করলাম। লড়াইয়ের সব প্রস্তুতি শেষ। শেষতক নির্দেশ এল না। আমরা সাড়ে ১২টার দিকে বিমান থেকে নেমে এলাম।’

কম্পিউটার বন্ধ হতে সময় লাগছে?

কাজ শেষে যখন Health & Fitness');কম্পিউটারটি বন্ধ করতে শাটডাউনে ক্লিক করছেন, তখন হয়তো সেটি বন্ধ হতে বেশি সময় নিচ্ছে। এরকমটা হতে পারে মাঝেমধ্যে। উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমে এমন সমস্যা হলে সমাধানও রয়েছে।

কেন হয়?সাধারণত কম্পিউটার বন্ধ হওয়ার সময় অনেক অপারেটিং সিস্টেম ও অন্যান্য সফটওয়্যারের অনেক কাজও (প্রসেস) বন্ধ হয়। যদি শাটডাউনের সময় Shutting down বার্তা পর্দায় অনেকক্ষণ ধরে দেখা যায় তবে বুঝবেন এটি সিস্টেমের প্রসেসিং সমস্যা। কিংবা programs need to close বার্তা দেখিয়ে তালিকার কিছু প্রোগ্রাম বন্ধ করতে বলবে। যদি সেগুলো বন্ধ করতে গিয়ে আর কাজ না করে তবে বুঝতে হবে এটি সফটওয়্যারের সমস্যা। আবার উইন্ডোজ আপডেট নিয়ে সেটি সম্পন্ন হওয়ার জন্যও সময় নেয়। আবার র‍্যামে পেইজ ফাইল তৈরি হলেও এমন হতে পারে। সমস্যা চিহ্নিত হলে সমাধান দ্রুত করা যায়। এ জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
প্রসেস বন্ধ করতেযদি Shutting down বার্তা দেখিয়ে বেশি সময় নেয়, তবে উইন্ডোজ রেজিস্ট্রির HKEY/OCAL/MACHINE থেকে SOFTWARE থেকে Microsoft যান। Windows থেকে CurrentVersion এর Policies থেকে System-এ গেলে VerboseStatus নামের এন্ট্রি দেখতে পাবেন তাতে ক্লিক করে এর Value Data তে 1 লিখে দিন। VerboseStatus নামের এন্ট্রি না পেলে এই নামে নতুন একটি এন্ট্রি খুলে তার মান 1 লিখে দিতে হবে।
সফটওয়্যারের সমস্যা
কম্পিউটার বন্ধের সময় programs need to close বার্তা দেখিয়ে তালিকার অনেক প্রোগ্রাম বন্ধ করতে বলা হয়। অনেক সময় Force shutdown-এ ক্লিক করার পরও তা বন্ধ হতে চায় না। এ জন্য উইন্ডোজ ৭-এর স্টার্ট মেন্যুর সাচের্র ঘরে msconfig লিখুন। msconfig. exe তে ক্লিক করলে সিস্টেম কনফিগারেশন খুলে যাবে। এখানকার General ট্যাবের Selective startup থেকে Load Startup এর টিক চিহ্ন তুলে দিন। এবার Services ট্যাবের নিচে Hide all Microsoft Services-এ টিক চিহ্ন দিয়ে Disable All-এ ক্লিক করুন। OK-করলে উইন্ডোজ কনফিগারেশন পরিবর্তনের জন্য কম্পিউটার রিস্টার্ট করতে হবে। কম্পিউটার রিস্টার্ট করলে সমস্যার সমাধান হবে। অনেক সময় কিছু প্রয়োজনীয় মাইক্রোসফট সার্ভিসও বন্ধ হতে পারে। ফলে উইন্ডোজের কিছু সেটিংসের পরিবর্তন হয়। না ঘাবড়ে msconfig-এ আবার গিয়ে Services ট্যাবের যে সেবাটি দরকার তাতে টিক দিয়ে ওকে করলেই সমস্যা দূর হবে।
উইন্ডোজ আপডেট বন্ধ
 Control Panel থেকে All Control Panel Items-এ গিয়ে Windows Update-এ যান। বাঁয়ের Change settings-এ ক্লিক করুন। Important updates এ ক্লিক করে Never check for updates (not recommended) নির্বাচন করে ওকে করলেই বন্ধ হবে। 

বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে গুগল

বাংলাদেশের সরকারের কাছ থেকে অনুরোধে সাড়া দিয়েছে গুগল। গত সোমবার গুগলের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে গুগলের কাছে তথ্য চেয়ে যে অনুরোধ পাঠানো হয়, তা জনগণকে জানাতে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে গুগল।

গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রথমবারের মতো গুগলের কাছে বাংলাদেশ থেকে কোনো অনুরোধ যায়। বাংলাদেশের সেই অনুরোধে গুগল সাড়াও দিয়েছে। গত বছরের শেষ ছয় মাসে মোট দুবার গুগলকে অনুরোধ জানানো হয়। এর মধ্যে একবার তিনটি অনুরোধে চারটি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়, যা গুগলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। পরে চারটি অনুরোধে নয়টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হলে তা সরবরাহ করে গুগল। এই চারটি অনুরোধকে গুগল বলছে ‘ইমারজেন্সি ডিসক্লোজার রিকোয়েস্ট’ আর প্রথম তিনটি রিকোয়েস্ট ছিল ‘লিগাল রিকোয়েস্ট’।

এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশের সরকারের তরফে গুগলের কাছ থেকে তথ্য চাওয়ার হার রেকর্ডসংখ্যক বেড়ে গেছে। গত বছরের শেষ ছয় মাসে, অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বরের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে গুগলের ওই প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে গুগল বলেছে, ২০১৫ সালের শেষ ছয় মাসে গুগলের কাছে ৪০ হাজার ৬৭৭টি অনুরোধে ৮১ হাজারেরও বেশি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়। ২০১৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ৩৫ হাজার অনুরোধে ৬৯ হাজার অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছিল।

গুগল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, আমাদের সেবা ব্যবহার প্রতিবছর বাড়ছে। একই সঙ্গে ব্যবহারকারীর তথ্য চাওয়ার পরিমাণও। তবে ৬৪ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনো তথ্য সরবরাহ করা হয়নি।

তথ্য চাওয়ার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র—১২ হাজার ৫২৩ অনুরোধ করেছে দেশটি। এরপর ৭ হাজার ৪৯১ অনুরোধ করে দ্বিতীয় অবস্থানে জার্মানি, ৪ হাজার ১৭৪ অনুরোধে তৃতীয় ফ্রান্স ও ৩ হাজার ৪৯৭ অনুরোধে চতুর্থ যুক্তরাজ্য।



















Tuesday, April 5, 2016

জামিন পেলেন খালেদা জিয়া

DR.MIZAN
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে নাশকতার ঘটনায় বিশেষ আইনে করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন। পাশাপাশি অন্য চারটি মামলায়ও পৃথক আদালত থেকে জামিন পান তিনি।
সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাসে কক্ষে ঢোকেন খালেদা জিয়া। জয়নাল আবেদীনসহ অন্য আইনজীবীরা তাঁর পক্ষে জামিনের শুনানি করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, যাত্রাবাড়ীতে নাশকতার ঘটনায় বিশেষ আইনে করা এ মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশে খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন না। সবকিছু সুতরাং-অতএবের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ তাঁকে এ মামলার আসামি করেছে। সুতরাং তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হোক।
অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু।
শুনানি শেষে আদালত বেলা ১১টা ২০ মিনিটে জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
DR.MIZAN
 ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবরোধের ডাক দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এই অবরোধের মধ্যে ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা ছোড়া হলে ২৯ জন যাত্রী দগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে নূর আলম (৬০) নামের এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ ফেব্রুয়ারি মারা যান। ওই ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে দুটি মামলা করে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ। দুই মামলাতেই খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়। এর মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় গত ৩০ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় জামিন পেয়ে এরপর খালেদা জিয়া গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত থকে জামিন নেন। এরপর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে যাত্রাবাড়ী থানায় নাশকতার ঘটনায় দণ্ডবিধি আইনে করা মামলায়, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা ও গুলশানে ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় জামিন নেন।
DR.MIZAN
 খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী জয়নাল আবেদীন, এ জে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ও দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা স্লোগান দেন। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বেলা ​১টা ২৩ মিনিটে খালেদা জিয়া আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে যান।

THANKS A LOT- MEDAM KHALEDA ZIA
 

মৃত্যুর কারণ উল্লেখ নেই, ধর্ষণেরও আলামত মেলেনি

কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ১৪ দিন পর গতকাল সোমবার প্রকাশ পেয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তনুর মৃত্যুর কারণ অজ্ঞাত। ধর্ষণেরও কোনো আলামত মেলেনি। ভিসেরা পরীক্ষায় কোনো প্রকার বিষক্রিয়া বা রাসায়নিকের প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
প্রথম ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা পরীক্ষার প্রতিবেদনের ফলাফল গতকাল গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক কামদা প্রসাদ সাহা। তাহলে তনু কী করে মারা গেলেন—এ প্রশ্নের জবাবে কামদা প্রসাদ সাহা বলেন, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
 রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ফলাফল জানিয়ে তনুর বাবা ইয়ার হোসেনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, তিনি গতকাল সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে কোনো কিছু পাওয়া না গেলে আমি কী বলব? আমি তো আর ডাক্তারের ওপরের কোনো ব্যক্তি না। আমার মেয়ের নাকে আঘাত, কানের নিচে আঘাত, মাথা থেঁতলানো—এগুলো কি সব মিছা?’
গত ২১ মার্চ তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত করেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের কনিষ্ঠ প্রভাষক। আদালতের নির্দেশে নয় দিন পর ৩০ মার্চ কবর থেকে তনুর লাশ তুলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। আর এই বোর্ডের প্রধান হলেন কামদা প্রসাদ সাহা। এই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো প্রস্তুত হয়নি।

 কামদা প্রসাদ সাহা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনো শেষ হয়নি। তিনি বলেন, গত রোববার দুপুরের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে প্রথম ময়নাতদন্তের ভিসেরা প্রতিবেদন এসেছে। এরপর গতকাল প্রথম ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের সময়ে যেসব জিনিস পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, সেগুলোর প্রতিবেদন মিলিয়ে নতুন প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

কামদা প্রসাদ সাহা প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন গতকাল মামলাবর্তমান তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন।
অবশ্য প্রথম ময়নাতদন্ত নিয়ে শুরুতেই বিতর্ক উঠেছে। তাতে তনুর মাথার পেছনে জখমের কথা গোপন করার অভিযোগ আছে। এ ছাড়া তাঁর কানের নিচে আঁচড়ের আঘাতকে মৃত্যুর পর পোকার কামড় বলে উল্লেখ করায়, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ময়নাতদন্ত করার মূল উদ্দেশ্য হলো মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা। এ ক্ষেত্রে সেটাই বের করতে পারেনি। এ ছাড়া এই মামলার তদন্তের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো, ময়নাতদন্তের কতক্ষণ আগে তনুর মৃত্যু হয়েছে, সেটা জানা। প্রথম প্রতিবেদনে সেটাও আসেনি।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গত ২৮ মার্চ পুলিশ কবর থেকে তনুর লাশ তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আবেদন করে। আদালতের নির্দেশে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করে। কামদা প্রসাদ সাহাকে প্রধান করে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অপর দুই সদস্য হলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের প্রধান করুণা রানী কর্মকার ও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক মো. ওমর ফারুক।

 অবশ্য ৩০ মার্চ রাতে কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, তনু যে হত্যার শিকার, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। লাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। তখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য এবং পারিপার্শ্বিক আলামত থেকে তিনি এ ধারণা করছিলেন বলে জানান। একই কথা তিনি ওই দিন বিবিসিকেও বলেছিলেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, পুনঃময়নাতদন্তে যকৃৎ ও পাকস্থলীর কিছু অংশ পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। আগে এক দফা ময়নাতদন্তে মরদেহের বিভিন্ন অংশ কাটাকাটি হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার (গরম ও বৃষ্টি) মধ্যে নয় দিন পর কবর থেকে লাশ তুলে পুনরায় ময়নাতদন্ত হয়েছে। এ অবস্থায় নির্যাতন ও ধর্ষণের আলামতের প্রমাণ পাওয়া কঠিন।
অপর একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, প্রথম ময়নাতদন্তে অভিজ্ঞ কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। যার কারণে দরকারি কিছু বিষয় উপেক্ষিত থেকে গেছে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী তনু গত ২০ মার্চ খুন হন। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে পাওয়ার হাউসের অদূরে কালভার্টের পাশে একটি ঝোপ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন একমাত্র মেয়েকে হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।